জেলা শিল্পকলা একাডেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আদর্শ ও উদ্দেশ্যাবলীঃ
জাতীয় সংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশ সাধনে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কার্যকলাপে যথাঃ চারম্নকলা, সংগীত, নৃত্য ও নাটক ইত্যাদিতে উৎসাহ দান।
স্থানীয় সুকুমার শিল্পের প্রতিষ্ঠানসমূহকে সর্বপ্রকার সাহায্য ও সঠিক নির্দেশ দান।
আঞ্চলিক ভিত্তিতে জনসাধারণের মধ্যে যথাযথ সাংস্কৃতিক মানসিকতা ও সৌন্দর্যবোধের চর্চা, সম্প্রসারণ এবং আমাদের শিল্পচর্চার সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক সৃষ্টি।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা, সেমিনার, চারম্নকলা প্রদর্শনী, নাট্যানুষ্ঠান, আর্ট গ্যালারী, গ্রন্থাগার, ড্রইংক্লাস ইত্যাদির ব্যবস্থা গ্রহণে শিল্পী এবং শিল্পানুরাগীদের সুযোগ ও
সহায়তা দান।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ঐতিহ্যবাহী সুকুমার শিল্প, বিশেষতঃ লোক-শিল্প,লোকগাথা, ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ প্রদর্শন ও প্রকাশনার ব্যবস্থা করা।
চারুও কারুকলা, নৃত্য, সংগীত ও নাটকের বিভিন্ন শাখার প্রতিযোগিতা এবং পুরষ্কার বিতরণ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিভাবানদের উৎসাহ দান।
কমিটিঃজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত এডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন প্রফেসর আশরাফুল হক, জনাব মনির হোসেন, জনাব পিযুষ কামিত্ম আচার্য এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী অডিটরিয়ামঃগত ২২-০৬-২০১১ খ্রিঃ তারিখে ১৫০ আসন বিশিষ্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অডিটরিয়াম উদ্বোধন করা হয়। অডিটরিয়ামে স্টেইজ, আকর্ষনীয় লাইটিং ও উন্নতমানের সাউন্ড সিন্টেম এর ব্যবস্থা আছে। অডিটরিয়ামটি ভাড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের জন্য ১০০০/- টাকা এবং অন্যান্য সকলের জন্য ৩০০০/- টাকায় ভাড়া প্রদান করা হয়।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমঃজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংগীত এবং তবলা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।প্রশিক্ষণ বিভাগে উচ্চাঙ্গ সংগীত প্রশিক্ষক বেগম সন্ধ্যা রায়, সাধারণ সংগীত প্রশিক্ষক জনাব পিযুষ কামিত্ম আচার্য, তালবাদ্যযন্ত্র প্রশিক্ষক জনাব রঞ্জিব কুমার এবং তালবাদ্যযন্ত্র সহকারী জনাব বাবুল মালাকার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পাদন করেন।
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডঃজেলা শিল্পকলা একাডেমী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে প্রতিবছর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তন্মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো - মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, মহান বিজয় দিবস, পহেলা বৈশাখ, মুক্তিযুদ্ধের নাটক ও গান, আবৃত্তি অনুষ্ঠান, বর্ষা বরণ উদযাপন, নজরম্নল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী উদযাপন ইত্যাদি। তাছাড়া শিল্পকলা একাডেমী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস